ঢাকা,রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বাঁশখালী ও পেকুয়ায় মন্ডপে ভাঙচুর, উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশখালী ও পেকুয়ায় গতকাল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের উপজেলা সদর জলদী, চাম্বল, শীলকুপ টাইম বাজার, পুইছড়ি, ও কালীপুর এলাকায় গতকাল রাত ৯টা থেকে দফায় দফায় মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

এ সময় চাম্বলে দুর্গা মুর্তির মাথার অংশ, থানার সামনে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির গেট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। থানার সামনে কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয় । শীলকুপের টাইমবাজার এলাকায় মিছিল নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে । উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পুজারীরা নিরাপদ অবস্থান গ্রহণ করে।

বাঁশখালী সহকারী কমিশনার ( ভুমি ) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে । বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী চাম্বলে ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আজিজুল ইসলামসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তার সাথে ছিলেন। পরে তিনি উপজেলা সদরে এসে পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আবারো পুজামন্ডপে পরিদর্শনে বের হলেও রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে মিছিল চলছিল।

এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে র‌্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সর্বত্র পুলিশ র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।

আমাদের পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, পেকুয়ায় একদল লোক আকস্মিক একটি মিছিল নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পূজামণ্ডপের ৩টি গেইট ভাংচুর করেছে। তবে হামলাকারীরা পূজামণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশ্বাস পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার পর থেকে পুরো পেকুয়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একদল কিশোর হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে সুশীল পাড়া মন্দিরে হামলা চালিয়ে পূজা মন্ডপের গেইট ভাংচুর করে এবং একই সময় ২০০ গজ দূরে বিশ্বাস পাড়া কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপে হামলা চালিয়ে মণ্ডপের গেইটে ভাংচুর চালায়।

পরে খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা, উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাত, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মূলত কিছু দুষ্কৃতকারী গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।’

পাঠকের মতামত: